হাঁসের ডাকপ্লেগ রোগের কারন, লহ্মণ, চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও টিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম


হাঁসের রোগঃ

হাঁসের মারাত্মক রোগ -
ডাকপ্লেগ
ডাক কলেরা                              
ডাকভাইরাল হেপাটাইটিস (আমাদের দেশে এটা দেখা যায় না।)
 

ডাকপ্লেগ রোগের কারণঃ ডাকপ্লেগ ভাইরাস এর জন্যই ডাকপ্লেগ রোগ হয়।

লক্ষণঃ
তীব্র আক্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষণ ছাড়া মারা যায়।সাধারণ আক্রমণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণ প্রকাশ পায়।
পা এবং পাখনা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
ঘাড় বেকে যায়।
পুরুষ হাঁসের ক্ষেত্রে পুরুষ অঙ্গ বের হয়ে আসে বা ঝুলে পড়ে।
আলো দেখলে ভয় পায়।

চিকিৎসাঃ
ভাইরাস রোগ বিধায় এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নেই তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করার জন্য এন্টিবায়োটিক এর Renemycin powder (৩-৭) দিন প্রয়োগ করতে হবে।যেহেতু ঘাড় বাকা দূর করার জন্য (৩-৭) দিনপর এন্টিবায়োটিক শেষ হলে ভিটামিন B কমপ্লেক্স দিতে হবে (Thiavin powder) &( B Comvit liquid) ১মাস দিতে হবে।

প্রতিরোধঃ
১) বায়োসিকিউরিটি / জীবনিরাপত্তামেনেচলা
২) অসুস্থ হাঁসকে পৃথক করা
৩) মৃত হাঁসেকে মাটিতে পুতে ফেলা
৪) সকল সুস্থ হাঁসের টিক প্রদান

হাঁসের ডাকপ্লেগ টিকা দেওয়ার নিয়মঃ
Duck plueg vaccine প্রথমবার ২১ দিন বা তার অধিক বয়সে বুক / রানের মাংসে ১সিঃসিঃ / মিঃলিঃ দ্বিতীয় বার প্রথম টিকার ১৫ দিন পর একই টিকা একই নিয়ম / (বুষ্টারডোস)
মিশ্রণ পদ্ধতিঃ ১০০সিঃসিঃ ১০০মিঃলিঃ পানিতে গুলাতে হবে।

বিঃদ্রঃ
মিশ্রিত পানি বিশুদ্ধ হতে হবে।
বাজারে বোতলে যে মিনারেল ওয়াটার /পানি পাওয়া যায় ঐ পানি দিয়ে মেশানো যাবেনা।
হোমোপেতিক দোকানে ঔষধ মেশানো যে ডিস্টিল ওয়াটার পাওয়া যায় ঐ পানি দিয়ে মেশাতে হবে।
মিশ্রণের ১ ঘন্টার মধ্যে সকল ঔষধ ব্যবহার করে ফেলতে হবে।
মিশ্রিত ঔষধ পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া যাবে না।

Comments